শাল: ফ্যাশনে এবং উষ্ণতায়
আবু সুফিয়ান কবির

এক সময় শাল ছিল পুরুষের পোশাক। শালের মধ্য দিয়ে আভিজাত্য প্রকাশ পেত। রাজা-মহারাজারা মর্যাদা প্রকাশে গুরুত্ব দিতেন শালকে। এমনকি বাংলার জমিদাররাও এক সময় শাল বেছে নিয়েছিলেন বংশপরম্পরায়। এখনও বিত্তশালী এবং রাজনৈতিক নেতারা শাল ব্যবহার করছেন ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে। শালের মাধ্যমে ফুটে ওঠে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব। এই কারণেই পুরুষদের ফ্যাশনে পোশাক হিসেবে শাল মিশে গিয়েছিল ঐতিহ্যগত কারণে। শুধু পুরুষ নয়, অন্দরমহলের নারীরাও শাল ব্যবহার করতেন। শরত্চন্দ্রের পার্বতী, মেজ দী ও বড় দী কিংবা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের আধুনিক নারী লাবণ্যের গায়ে শোভা পেয়েছিল শাল। বাংলা উপন্যাসের জনপ্রিয় নারী চরিত্রদের হাত ধরেই শাল এসে পড়েছে আমাদের আধুনিক নারীদের কাছে। শীতের সময় শাল দিয়ে শুধু উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা হয় না, শাল যেন এক-একটি প্রধান পোশাক অনুষঙ্গ। পুরুষরা পাঞ্জাবির সঙ্গে হর-হামেশাই ব্যবহার করছে শাল। তবে শাল এখন যে কোনো পোশাকের সঙ্গে মানায়।
শালের সমাবেশ : দেশি ব্রান্ড আইটেমের শোরুমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে দেশি তাঁতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল। বুটিক হাউস অঞ্জন’স-এর স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ জানালেন, ‘এই শীতে অঞ্জন’স শাল তৈরিতে কটন ও খদ্দর কাপড় ব্যবহার করলেও ডিজাইনে এনেছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। মার্জিত রংয়ের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মোটিফ। বিশেষভাবে তরুণীরা যাতে একটি শাল ব্যবহার করে শীত নিবারণের পাশাপাশি নিজেকে আকর্ষণীয় ও স্মার্টভাবে উপস্থাপন করতে পারে, এই বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। শুধু মেয়েদের জন্য নয়, ছেলেদের জন্যও তৈরি হয়েছে নানা ডিজাইন ও আঙ্গিকের শাল।’ আজিজ সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার, গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের শাল। দেশীয় নামকরা ফ্যাশন হাউসগুলোতেও এসেছে প্রচুর ফ্যাশনেবল শাল। তাঁতের তৈরি শালের ওপর করা হয়েছে অ্যাপলিক, ব্লক, চুমকি, বাটিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, টাইডাই ও নকশিকাঁথার কাজ। কালো, অ্যাশ কালারের শাল বেশি দেখা গেলেও এর পাশাপাশি গোলাপি, ম্যাজেন্ডা, লাল, সবুজ, হলুদ, নীল, কমলা রংয়ের শাল সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো শালের গায়ে মোটিফ হিসেবে ফুটে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম ও স্লোগান। দিনের বেলা হালকা রং ও রাতে উজ্জ্বল রংয়ের শাল বেশ মানায়।
বুটিক হাউস আড়ং ও কুমুদিনী এবার নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল। কুমুদিনীর তাঁতের শালে করা হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ার পাশাপাশি নকশিকাঁথার ডিজাইন। আড়ংয়ে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের শাল। হাতের কাজ, এপলিক ও ব্লক কাজের শালের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের শাল। কে-ক্রাফটে পাওয়া যাচ্ছে কুমিল্লার এক রংয়ের পাশাপাশি নকশিকাঁথার ডিজাইন। বিবিয়ানায় পাওয়া যাচ্ছে লিনেনের অনুকরণে টাঙ্গাইলে বোনা শাল। নিত্য উপহারে পাওয়া যাচ্ছে টাইডাই করা বিভিন্ন রংয়ের শাল।
বাজারে বিভিন্ন নামে শাল পাওয়া যায়। মণিপুরী শাল, আদিবাসী শাল, খাদি শাল, কাশ্মীরি শাল, ভারতীয় শাল, কুমিল্লার শাল, পশমিনা শাল, জয়পুরী শাল ও লুদিয়ানা শাল ইত্যাদি।
অন্য হাউসগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাল। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, প্রবর্তনা, কনিষ্ক, নিপুণ, বাংলারমেলা, ওটু, দেশাল, চৈতি, নবরূপা, ওজি, অন্যমেলা, রঙ, নগরদোলা, মণিপুরী শাড়ি অ্যাম্পোরিয়া, এবং, বাংলার শোভা, বাংলার রূপ, গোকাট, এবি ফ্যাশন, এম ক্রাফট, কল্কা, এড্রয়েট, গৃহিণী, তান্হা, পঙিক্ত, মেঠোপথ, প্রজাপতি, নন্দিনী ফ্যাশন, মায়াসীর, যাত্রা, কারুপণ্য, আবর্তন, স্মার্টটেক্স, হোমটেক্সসহ আরও বেশকিছু বুটিক হাউসে পাওয়া যাচ্ছে শীতের শাল। এছাড়া বসুন্ধরা সিটির টাওয়ার পার্টের ব্রান্ড আইটেমের দোকানে, দেশি দশের শোরুমে চাঁদনি চক, গাউছিয়া, বঙ্গবাজার, ঢাকা কলেজের বিপরীতে, হকার্স মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা আইডিয়াল কলেজের বিপরীতে, ফার্মগেটের ফুটপাতে উল্লেখযোগ্য হারে শীতের শাল পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য ফুটপাতেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল।
শালের যতন : শাল ব্যবহারের ও ওয়াশ করার সময় সব সময় কিছু নিয়ম মানা উচিত। কিছুটা ভারি ও বড় শাল ব্যবহার করলে শীতের অন্যান্য কাপড় ব্যবহার না করলেও চলে। তবে ওয়াশ করার সময় হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই রং ও বুননে কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকক্ষণ ডিটারজেন্ট দেয়া পানিতে শাল ভিজিয়ে রাখলে কাপড়ের মূল কাঠামোর ক্ষতি হয়। এছাড়া শ্যাম্পু দিয়েও শাল ওয়াশ করা যায়। তবে পশমি বা উলেন শাল ড্রাই ওয়াশের কোনো বিকল্প নেই।
শালের সমাবেশ : দেশি ব্রান্ড আইটেমের শোরুমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে দেশি তাঁতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল। বুটিক হাউস অঞ্জন’স-এর স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ জানালেন, ‘এই শীতে অঞ্জন’স শাল তৈরিতে কটন ও খদ্দর কাপড় ব্যবহার করলেও ডিজাইনে এনেছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। মার্জিত রংয়ের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মোটিফ। বিশেষভাবে তরুণীরা যাতে একটি শাল ব্যবহার করে শীত নিবারণের পাশাপাশি নিজেকে আকর্ষণীয় ও স্মার্টভাবে উপস্থাপন করতে পারে, এই বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। শুধু মেয়েদের জন্য নয়, ছেলেদের জন্যও তৈরি হয়েছে নানা ডিজাইন ও আঙ্গিকের শাল।’ আজিজ সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার, গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের শাল। দেশীয় নামকরা ফ্যাশন হাউসগুলোতেও এসেছে প্রচুর ফ্যাশনেবল শাল। তাঁতের তৈরি শালের ওপর করা হয়েছে অ্যাপলিক, ব্লক, চুমকি, বাটিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, টাইডাই ও নকশিকাঁথার কাজ। কালো, অ্যাশ কালারের শাল বেশি দেখা গেলেও এর পাশাপাশি গোলাপি, ম্যাজেন্ডা, লাল, সবুজ, হলুদ, নীল, কমলা রংয়ের শাল সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো শালের গায়ে মোটিফ হিসেবে ফুটে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম ও স্লোগান। দিনের বেলা হালকা রং ও রাতে উজ্জ্বল রংয়ের শাল বেশ মানায়।
বুটিক হাউস আড়ং ও কুমুদিনী এবার নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল। কুমুদিনীর তাঁতের শালে করা হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ার পাশাপাশি নকশিকাঁথার ডিজাইন। আড়ংয়ে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের শাল। হাতের কাজ, এপলিক ও ব্লক কাজের শালের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের শাল। কে-ক্রাফটে পাওয়া যাচ্ছে কুমিল্লার এক রংয়ের পাশাপাশি নকশিকাঁথার ডিজাইন। বিবিয়ানায় পাওয়া যাচ্ছে লিনেনের অনুকরণে টাঙ্গাইলে বোনা শাল। নিত্য উপহারে পাওয়া যাচ্ছে টাইডাই করা বিভিন্ন রংয়ের শাল।
বাজারে বিভিন্ন নামে শাল পাওয়া যায়। মণিপুরী শাল, আদিবাসী শাল, খাদি শাল, কাশ্মীরি শাল, ভারতীয় শাল, কুমিল্লার শাল, পশমিনা শাল, জয়পুরী শাল ও লুদিয়ানা শাল ইত্যাদি।
অন্য হাউসগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাল। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, প্রবর্তনা, কনিষ্ক, নিপুণ, বাংলারমেলা, ওটু, দেশাল, চৈতি, নবরূপা, ওজি, অন্যমেলা, রঙ, নগরদোলা, মণিপুরী শাড়ি অ্যাম্পোরিয়া, এবং, বাংলার শোভা, বাংলার রূপ, গোকাট, এবি ফ্যাশন, এম ক্রাফট, কল্কা, এড্রয়েট, গৃহিণী, তান্হা, পঙিক্ত, মেঠোপথ, প্রজাপতি, নন্দিনী ফ্যাশন, মায়াসীর, যাত্রা, কারুপণ্য, আবর্তন, স্মার্টটেক্স, হোমটেক্সসহ আরও বেশকিছু বুটিক হাউসে পাওয়া যাচ্ছে শীতের শাল। এছাড়া বসুন্ধরা সিটির টাওয়ার পার্টের ব্রান্ড আইটেমের দোকানে, দেশি দশের শোরুমে চাঁদনি চক, গাউছিয়া, বঙ্গবাজার, ঢাকা কলেজের বিপরীতে, হকার্স মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা আইডিয়াল কলেজের বিপরীতে, ফার্মগেটের ফুটপাতে উল্লেখযোগ্য হারে শীতের শাল পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য ফুটপাতেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল।
শালের যতন : শাল ব্যবহারের ও ওয়াশ করার সময় সব সময় কিছু নিয়ম মানা উচিত। কিছুটা ভারি ও বড় শাল ব্যবহার করলে শীতের অন্যান্য কাপড় ব্যবহার না করলেও চলে। তবে ওয়াশ করার সময় হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই রং ও বুননে কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকক্ষণ ডিটারজেন্ট দেয়া পানিতে শাল ভিজিয়ে রাখলে কাপড়ের মূল কাঠামোর ক্ষতি হয়। এছাড়া শ্যাম্পু দিয়েও শাল ওয়াশ করা যায়। তবে পশমি বা উলেন শাল ড্রাই ওয়াশের কোনো বিকল্প নেই।
No comments:
Post a Comment