Saturday, December 25, 2010

শীত ঠেকাতে নকশাদার টুপি

শীত ঠেকাতে নকশাদার টুপি

হাসান শান্তনু
প্রচণ্ড শীত, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। গোটা দেশ কাঁপছে শৈত্যপ্রবাহে। তীব্র শীতের দাপটে ঘরের ভেতরে থাকাও যেন দায়। জানালার ফাঁক গলে আসা বাতাসে একটুতেই ঝিম ধরে যায় পুরো শরীরে। তবু জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরুতে হচ্ছে প্রায় সব পেশার মানুষকে। ঘরেই শীত থেকে রেহাই মিলছে না, বাইরের অবস্থা আরও ভয়াবহ। কখনও বাতাস বইছে একটানা, আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা। তখন কয়েক হাত দূরের জিনিস ভালো করে দেখা যায় না। অনেকে শীতের তীব্রতা থেকে নিজেকে বাঁচাতে শরীরে জড়িয়ে নিচ্ছেন গরম কাপড়। মাথা-কানকে শীত থেকে রক্ষা করতে পরছেন নানা রকম টুপি। টুপিতে কেউ কেউ নিজের মাথা, কান, গলা এমনভাবে ঢেকে বাইরে বেরুচ্ছেন যে তার চোখদুটিই কেবল দেখা যায়। বাহারি রং, নানা নকশা ও নামের টুপি হয়ে উঠছে শীত ঠেকানোর হাতিয়ার। এসব টুপি আকৃতি ও ধরনে বিচিত্র।
ঢাকার প্রায় সব এলাকাতে এখন মিলছে শীত ঠেকানোর টুপি। পাড়ার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানেও বিক্রি হচ্ছে এসব। বিভিন্ন এলাকা ও কয়েকটি বিপণিবিতান ঘুরে জানা যায়, প্রায় সাত থেকে নয় ধরনের টুপি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আছে মাংকি টুপি, কান টুপি, বাঁদর টুপি, ইয়ার ফোন টুপি, ভুতুম টুপি, বেল্ট টুপি, পাঞ্জাবি টুপি, গ্লাভস টুপি ইত্যাদি। টুপির এমন নামকরণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না। এমনকি অনেক টুপির উত্পাদনকারী কোম্পানিও নাম নির্ধারণ করছে না। ধরন, আকৃতি ও কাজের সঙ্গে মিলিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতারাই অনেকক্ষেত্রে নাম নির্ধারণ করছেন। আর ওই নামেই পরিচিতি পাচ্ছে। যেমন, কান ঢেকে রাখে বলে ‘কান টুপি’, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লোকদের ব্যবহার করা টুপির আদলে তৈরি বলে ‘পাঞ্জাবি টুপি’, আবার ওপরে বোঁটা থাকে বলে ‘ভুতুম টুপি’।
শীতের তীব্রতা থেকে কান-মাথাকে বাঁচাতে একসময়কার মাফলারের জায়গা এখন দখলে নিচ্ছে এসব টুপি। আর ফ্যাশনসচেতন তরুণদের মধ্যে শীতকালে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে। তবে অনেকেই টুপির সঙ্গে মাফলার জড়াতেও ভুলছেন না। প্রায় সব বয়সের মানুষই এসব টুপি ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে শিশুদের মাথা-কান মায়েরা মুড়িয়ে রাখছেন টুপিতে। ধানমন্ডির বাসিন্দা ও গৃহিণী শাহানা শিউলি তার ছয় বছরের মেয়ের শরীর অন্য গরম কাপড়ের সঙ্গে টুপিতে মুড়িয়ে কেনাকাটা করতে গতকাল দুপুরে বাইরে বের হন। তিনি জানান, ‘কেবল বাইরে বেরুনোর সময়ই নয়, বাসায় থাকলেও আজকাল মেয়েকে টুপি পরিয়ে রাখি।’ বেসরকারি একটি ব্যাংকে কর্মরত আফজাল আহমদ গতকাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ নগরীর আকাশে দুপুরের দিকে সূর্য দেখা গেলেও সকালে কুয়াশায় ঢাকা ছিল। তাছাড়া সূর্যে বিশ্বাস নেই। শৈত্যপ্রবাহ কাটবে না, আবহাওয়া অফিসের এমন সতর্ক বার্তাও আছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে টুপি জড়িয়ে বাসা থেকে বেরিয়েছি।’ তার মতে, ‘মুসলমানদের নামাজ আদায়ের টুপি অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও কেউ কেউ ব্যবহার করেন। শীত ঠেকাতে এখন সব ধর্মের মানুষ টুপি পরছেন।’ তবে নগরীর নানা এলাকায় ঘুরলে তরুণদের মধ্যেই টুপির ব্যবহারটা বেশি চোখে পড়ে। অনেকক্ষেত্রে একই ধরন, আকৃতির টুপি নারী-পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করছেন। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা নকশা, রং, কারুকাজের টুপিও পাওয়া যাচ্ছে। বয়স অনুযায়ী টুপিও হচ্ছে ভিন্ন রকম।
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে দাম। কারওয়ানবাজারের ফুটপাতের বিক্রেতা আবদুল আউয়াল আমার দেশকে জানান, ‘বাঁদর টুপি এবার শীতের শুরুতেও ৩০ টাকা করে বিক্রি হতো। গত কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকায় ওই টুপি এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মগেটের বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতের বিক্রেতা সাব্বির হোসেনও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ইয়ার ফোন টুপি আগে ১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বাড়তি। প্রতি টুপির দাম রাখা হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া মানকি টুপি একশ’ থেকে দুইশ’ টাকা, কান টুপি ৫০ থেকে ৮০ টাকা ও বেল্ট টুপির দাম দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা।
নানা জাতের টুপির মধ্যে বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইয়ার ফোন টুপি। মাথার পেছন থেকে দুই কানকে চেপে ধরে রাখে এ টুপি। অনেকে একে রিং টুপিও বলছেন। দাম কম হওয়ায় শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে এ টুপি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশে উত্পাদিত টুপির মধ্যে সবচেয়ে দামি গ্লাভস টুপি। এর দাম পড়ছে প্রায় তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা। কোনো কোনো বিক্রেতা আবার সুযোগ বুঝে দাম রাখছেন চারশ’ টাকার বেশি। পুরো কপালসহ মাথা থেকে গলা পর্যন্ত ঢেকে রাখে এ টুপি। সাধারণত মোটরসাইকেলের চালকরা হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এ টুপি বেশি ব্যবহার করেন। এছাড়া ফ্যাশনসচেতন অনেক তরুণই এ টুপি ব্যবহার করছেন।
এসব টুপির বেশিরভাগই দেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে উত্পাদিত হচ্ছে। দেশে উত্পাদিত নানা জাতের টুপি পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর নিউমার্কেট, পুরনো ঢাকার বঙ্গ মার্কেট, ফার্মগেটের একাাধিক মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় কাপড় বিক্রির ছোট-বড় দোকান ও ফুটপাতে। দেশি টুপির ফাশাপাশি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা দেশের টুপি। বিদেশি টুপির নকশা, কারুকাজ যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি দামটাও বেশি। নগরীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, ধানমন্ডির রাফা প্লাজা, উত্তরার মাসকট প্লাজা ও কুশল সেন্টারের মতো অভিজাত মার্কেটে বিদেশি ব্র্যান্ডের টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসব টুপি এডিডাস, রিবক, নাইকি, রকসহ পৃথিবীখ্যাত কোম্পানির উত্পাদিত। এদেশে টুপিগুলোর ক্রেতা উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা বলে জানা যায়। একাধিক দোকানি জানান, প্রতি টুপির দাম পড়ে কমপক্ষে পাঁচশ’ টাকা। তবে হাজার টাকা দামের টুপিও আছে। দেশে উত্পাদিত অনেক টুপির গায়েও বিদেশি কোম্পানির নাম লেখা থাকছে। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে উত্পাদকরা এটা করছেন।

Friday, December 24, 2010

Winter Tips for Hair, Skin,Hands, Nails,Legs, Lips

Winter Tips for Hair, Skin,Hands, Nails,Legs, Lips

Winter is just not about warm clothes, fireside reading, snuggling close to the pillows wrapped from head to toe with a comfy quilt. It is time to battle the cold winds that hampers your body and hair. A little care will keep the wintry troubles at bay.

Hair...
Before the winter winds can work havoc with your hair, expose your hair to deep conditioning. Since the cold weather causes to dry your hair, massage your hair in aloe Vera juice for a few minutes. This will restore its softness.

You can also treat your hair with oil massage once or twice a week Olive oil can work wonders in reinforcing moisture to your hair. Heat the oil before using and allow it to soak for a time lesser than the time you allot for the summer season. Too long a period of soaking hair in oil can get you ill. If you are used to treating your hair with herbal extracts or herbal oil do not soak it for a long time. Herbal ingredients are mostly cooling agents that are more suitable for the summer. Keep away from washing your hair too frequently.

Woolen clothing like hats, scarves and turtlenecks can cause damage to your hairline. Since they can cause breakage, first cover your hair with a silk scarf before exposing it to winter wraps.

It is the appropriate time for split ends to work their way up to the hair shafts. Hence trim your split ends.

Style your hair with a braid, twist or a knot. Try Keeping away from letting your hair open and wild, as the cold winds can play rough on your hair.

Avoid exposing your hair to frequent coloring, streaking, or ironing as they can rob your hair off its moisture and it is advisable to avoid heating appliances on your hair.

Expose your hair to natural drying. Keep away from blow dryers. If you have to use, use one with a hood.

Always cover your hair with a silk fabric to guard it from the chill winds.

Skin...
Your skin texture depends not only on external treatments, but also on the intake. A proper nutritious intake helps in rejuvenating the skin from within. Water plays an important role in keeping your skin alive. A good amount of water helps in retaining the moisture of your skin as well keeping skin disorders at bay. Fruits and vegetables in your daily diet release a lot of water to your system. Primrose syrup and olive oil in your diet also aids in softening your skin.

Use the paste of ground green gram powder instead of soap to work your way to a soft and supple skin.

Pamper you skin with a little coconut oil before bath to heal dryness and chaps. Use a creamy soap that renders that extra suppleness to your skin.

Moisturizers and cold creams are a must in the winters. Apply some good cold cream on your face before going to bed. Moisten your skin with a good moisturizer or a creamy hand and body lotion. My best buy is ' Jergens' hand and body lotion.

Add a few drops of oil to the water that you are using to bath. This will help retain the moisture lost when bathing. Avoid using very hot water during winter as it can decrease the natural oils of your skin. Instead shorten your bath time.

Hands, legs and nails...
When treating your legs add a few drops of oil in the water that you use to soak them. With regards to hands, try using rubber gloves while immersing them in water. Use a base coat over your nails against the cold weather.

Lips...
A good petroleum jelly will be an effective cover over your lips against the cold weather. Butter is effective in curing chapped lips and renders an extra softness.

So get ready to shield your body against the winter threats.

শাল: ফ্যাশনে এবং উষ্ণতায়

শাল: ফ্যাশনে এবং উষ্ণতায়

আবু সুফিয়ান কবির
এক সময় শাল ছিল পুরুষের পোশাক। শালের মধ্য দিয়ে আভিজাত্য প্রকাশ পেত। রাজা-মহারাজারা মর্যাদা প্রকাশে গুরুত্ব দিতেন শালকে। এমনকি বাংলার জমিদাররাও এক সময় শাল বেছে নিয়েছিলেন বংশপরম্পরায়। এখনও বিত্তশালী এবং রাজনৈতিক নেতারা শাল ব্যবহার করছেন ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে। শালের মাধ্যমে ফুটে ওঠে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব। এই কারণেই পুরুষদের ফ্যাশনে পোশাক হিসেবে শাল মিশে গিয়েছিল ঐতিহ্যগত কারণে। শুধু পুরুষ নয়, অন্দরমহলের নারীরাও শাল ব্যবহার করতেন। শরত্চন্দ্রের পার্বতী, মেজ দী ও বড় দী কিংবা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের আধুনিক নারী লাবণ্যের গায়ে শোভা পেয়েছিল শাল। বাংলা উপন্যাসের জনপ্রিয় নারী চরিত্রদের হাত ধরেই শাল এসে পড়েছে আমাদের আধুনিক নারীদের কাছে। শীতের সময় শাল দিয়ে শুধু উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা হয় না, শাল যেন এক-একটি প্রধান পোশাক অনুষঙ্গ। পুরুষরা পাঞ্জাবির সঙ্গে হর-হামেশাই ব্যবহার করছে শাল। তবে শাল এখন যে কোনো পোশাকের সঙ্গে মানায়।
শালের সমাবেশ : দেশি ব্রান্ড আইটেমের শোরুমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে দেশি তাঁতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল। বুটিক হাউস অঞ্জন’স-এর স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ জানালেন, ‘এই শীতে অঞ্জন’স শাল তৈরিতে কটন ও খদ্দর কাপড় ব্যবহার করলেও ডিজাইনে এনেছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। মার্জিত রংয়ের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মোটিফ। বিশেষভাবে তরুণীরা যাতে একটি শাল ব্যবহার করে শীত নিবারণের পাশাপাশি নিজেকে আকর্ষণীয় ও স্মার্টভাবে উপস্থাপন করতে পারে, এই বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। শুধু মেয়েদের জন্য নয়, ছেলেদের জন্যও তৈরি হয়েছে নানা ডিজাইন ও আঙ্গিকের শাল।’ আজিজ সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার, গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের শাল। দেশীয় নামকরা ফ্যাশন হাউসগুলোতেও এসেছে প্রচুর ফ্যাশনেবল শাল। তাঁতের তৈরি শালের ওপর করা হয়েছে অ্যাপলিক, ব্লক, চুমকি, বাটিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, টাইডাই ও নকশিকাঁথার কাজ। কালো, অ্যাশ কালারের শাল বেশি দেখা গেলেও এর পাশাপাশি গোলাপি, ম্যাজেন্ডা, লাল, সবুজ, হলুদ, নীল, কমলা রংয়ের শাল সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো শালের গায়ে মোটিফ হিসেবে ফুটে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম ও স্লোগান। দিনের বেলা হালকা রং ও রাতে উজ্জ্বল রংয়ের শাল বেশ মানায়।
বুটিক হাউস আড়ং ও কুমুদিনী এবার নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল। কুমুদিনীর তাঁতের শালে করা হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ার পাশাপাশি নকশিকাঁথার ডিজাইন। আড়ংয়ে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের শাল। হাতের কাজ, এপলিক ও ব্লক কাজের শালের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের শাল। কে-ক্রাফটে পাওয়া যাচ্ছে কুমিল্লার এক রংয়ের পাশাপাশি নকশিকাঁথার ডিজাইন। বিবিয়ানায় পাওয়া যাচ্ছে লিনেনের অনুকরণে টাঙ্গাইলে বোনা শাল। নিত্য উপহারে পাওয়া যাচ্ছে টাইডাই করা বিভিন্ন রংয়ের শাল।
বাজারে বিভিন্ন নামে শাল পাওয়া যায়। মণিপুরী শাল, আদিবাসী শাল, খাদি শাল, কাশ্মীরি শাল, ভারতীয় শাল, কুমিল্লার শাল, পশমিনা শাল, জয়পুরী শাল ও লুদিয়ানা শাল ইত্যাদি।
অন্য হাউসগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাল। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, প্রবর্তনা, কনিষ্ক, নিপুণ, বাংলারমেলা, ওটু, দেশাল, চৈতি, নবরূপা, ওজি, অন্যমেলা, রঙ, নগরদোলা, মণিপুরী শাড়ি অ্যাম্পোরিয়া, এবং, বাংলার শোভা, বাংলার রূপ, গোকাট, এবি ফ্যাশন, এম ক্রাফট, কল্কা, এড্রয়েট, গৃহিণী, তান্হা, পঙিক্ত, মেঠোপথ, প্রজাপতি, নন্দিনী ফ্যাশন, মায়াসীর, যাত্রা, কারুপণ্য, আবর্তন, স্মার্টটেক্স, হোমটেক্সসহ আরও বেশকিছু বুটিক হাউসে পাওয়া যাচ্ছে শীতের শাল। এছাড়া বসুন্ধরা সিটির টাওয়ার পার্টের ব্রান্ড আইটেমের দোকানে, দেশি দশের শোরুমে চাঁদনি চক, গাউছিয়া, বঙ্গবাজার, ঢাকা কলেজের বিপরীতে, হকার্স মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা আইডিয়াল কলেজের বিপরীতে, ফার্মগেটের ফুটপাতে উল্লেখযোগ্য হারে শীতের শাল পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য ফুটপাতেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল।
শালের যতন : শাল ব্যবহারের ও ওয়াশ করার সময় সব সময় কিছু নিয়ম মানা উচিত। কিছুটা ভারি ও বড় শাল ব্যবহার করলে শীতের অন্যান্য কাপড় ব্যবহার না করলেও চলে। তবে ওয়াশ করার সময় হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই রং ও বুননে কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকক্ষণ ডিটারজেন্ট দেয়া পানিতে শাল ভিজিয়ে রাখলে কাপড়ের মূল কাঠামোর ক্ষতি হয়। এছাড়া শ্যাম্পু দিয়েও শাল ওয়াশ করা যায়। তবে পশমি বা উলেন শাল ড্রাই ওয়াশের কোনো বিকল্প নেই।

Thursday, December 2, 2010

মেন’স কর্ণার : শীতে চাই কোট, ব্লেজার

মেন’স কর্ণার : শীতে চাই কোট, ব্লেজার

তারেক হায়দার
হেমন্তের পর আসে শীতকাল। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। এ সময় দিন-রাত সর্বক্ষণ শীত অনুভূত হলেও সকাল বেলার মুহূর্তটি আরও দারুণ। এই শীতে ছেলেদের এমন পোশাক চাই যা ফ্যাশনেবল এবং শীতের উপযোগীও বটে। শীতে পুরুষের সবচেয়ে বেশি পছন্দের পোশাক হচ্ছে কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট। আর চাকরিজীবী বেশিরভাগ পুরুষই কোট, ব্লেজার পরতে পছন্দ করে। শীতের সকালে সূর্যোদয় হয় অনেক দেরিতে। সূর্যাস্ত হয় তেমনি আগে। চাকরিজীবী পুরুষের সূর্যের আশায় বসে না থেকে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। তাদের সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে হয় নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে।
যতই শীত আসুক না কেন, চাকরিজীবী পুরুষের সময়কে ধরে রাখতে পারে না। তাদের বেরিয়ে পড়তে হয় সময়মত। শীতের সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবন চালাতে হয়। তাই তাদের জন্য চাই এমন পোশাক যা শীতকে প্রতিরোধ করে এবং ফ্যাশনেবলও বটে। শীতের রাত হয় অনেক দীর্ঘ। এই সময় পুরুষের ফ্যাশনেবল পোশাক হচ্ছে কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট। বর্তমানে শীতকালে সবশ্রেণীর পুরুষের পছন্দের পোশাক কোট, জ্যাকেট। এখন আপনার পছন্দের কোট, ব্লেজার কোথায় বানাবেন। আপনার বাজেট ও রুচির উপর নির্ভর করে শহরের অন্যতম বিখ্যাত টেইলার্সগুলো শীতের নানা পোশাক প্রস্তুত করে থাকে। যেগুলোর মধ্যে কোট, ব্লেজার প্রধান।
পুরুষের ফ্যাশনজগতের অন্যতম সানমুন টেইলার্স। সানমুন টেইলার্সের সাতটি শাখা রয়েছে। ১৯৮২ সাল থেকে পুরুষের রুচি অনুযায়ী পোশাক প্রস্তুত করছে। সানমুন টেইলার্সে আপনার কোট, ব্লেজার তৈরি করতে মজুরি লাগবে ৩৩০০ টাকা। ১২ দিনের মধ্যে তৈরি করা পোশাকটি আপনার হাতে পাবেন। সানমুন টেইলার্সের প্রধান শাখা ২১ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (বায়তুল মোকাররম) অন্যান্য শাখাগুলো হচ্ছে বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি প্লাজা, নিউ এলিফ্যান্ট রোড অন্যান্য।
স্টার টেইলার্স পুরুষের ফ্যাশন জগত্ আরেকটি নাম। আপনার কোট, ব্লেজার তৈরি করতে মজুরি লাগবে ২৮০০ টাকা। এই টেইলার্সটি আপনার তৈরি করা পোশাক ৮-১০ দিনের মধ্যে আপনাকে দেবে। বর্তমান ফ্যাশন জগতের আরেকটি নাম আবেদিন টেইলার্স। পুরুষের যে কোনো ডিজাইনের কোট, ব্লেজার তৈরি করা হয়। আপনার পছন্দের মতো কোট, ব্লেজার তৈরি করতে আবেদিন টেইলার্সের মজুরি দিতে হবে ৩,৫০০ টাকা। ১০ দিনের ভেতর তৈরি পোশাকটি পাবেন। ঠিকানা : ১০১ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ফ্যাশন জগতের আরেকটি নাম টপ টেন টেইলার্স। এটি পুরুষের পোশাক তৈরির অন্যতম প্রতিষ্ঠান, আপনার পছন্দের মতো ব্লেজার তৈরি করতে পারেন ৩,২১০ টাকা আর স্যুট ৩,৫০০ টাকার মধ্যে। টপটেন টেইলার্সের দুটি শাখা রয়েছে এলিফ্যান্ট রোড ও গুলশান।
বি.দ্র. ব্লেজার বা স্যুটের এমব্রয়ডারি কাজের মূল্য ভিন্ন হয়ে থাকে।

Tuesday, October 12, 2010

শীতের প্রস্তুতি

শীতের প্রস্তুতি

-আঞ্জুমান আরা
ঋতুর আবর্তনে শীত কড়া নাড়ছে। কিছুদিনের মধ্যেই উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করবে। প্রকৃতির পরিবর্তনে মানুষের লাইফস্টাইলে পরিবর্তনটাও স্বাভাবিক। সেজন্য থাকা চাই কিছু প্রস্তুতিও। তুলে রাখা লেপ, কম্বল আর ভারি শীতের কাপড়গুলো নামানোর প্রয়োজন হয়ে পড়বে। এরই প্রস্তুতি বিষয়ে জানিয়েছেন আঞ্জুমান আরা বেগম—লেপ, কম্বল, কাঁথা প্রভৃতি নামানোর পর ব্যবহারের আগে অবশ্যই কড়া রোদে শুকাতে হবে। লেপ ব্যবহারের সময় অবশ্যই লেপের কভার লাগিয়ে নিতে হবে। কম্বল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় কভার ব্যবহার করা হয় না। অনেক দিন ব্যবহার না করার কারণে এতে ছত্রাক পড়ে। এ থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
কম্বল দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় তা পোকায় কেটে ফেলে। ফলে যে অংশ পোকায় কাটে তা রিপু করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। শীতের পোশাক যেমন সোয়েটার, চাদর, শাল ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তবেই ব্যবহার করতে হবে। ছোটদের শীতের পোশাক, শীতটুপি, উল কিংবা ফ্লানেলের জামাও পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ছেলেদের কোট ও ব্লেজার ব্যবহারের আগে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হবে।
উলের কাপড় ধোয়ার জন্য কম ক্ষারযুক্ত সাবান, জেট পাউডার ও শ্যাম্পু বিশেষ উপযোগী। পশমি কাপড়ে রং ওঠার সম্ভাবনা থাকলে তা রিঠার পানিতে ধোয়া নিরাপদ। উলের কাপড় ধোয়ার পর পানি নিংড়ানোর জন্য কখনোই মোড়ানো ঠিক নয়। এতে কাপড়ের ক্ষতি হয়। ধোয়ার পর বড় আকৃতির তোয়ালের মধ্যে কাপড়টি জড়িয়ে দুই হাত দিয়ে চেপে পানি নিংড়াতে হবে। উল বা পশমি কাপড় বেশিক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আনুমানিক এক ঘণ্টার বেশি সময় কাপড় পানিতে ভিজিয়ে না রাখাই ভালো। উল বা পশমি কাপড় কখনোই কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না। উলের কাপড় ধোয়ার সময় কখনোই কাপড় ব্রাশ দিয়ে ঘষবেন না। ডিটারজেন্ট পানিতে কাপড় ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর দুই হাত দিয়ে কাপড় কেচে নিন। এতে কাপড়ের ভেতর জমে থাকা ময়লা দূর হয়ে যাবে। হাতমোজা ও মাফলার ধোয়ার সময়ও একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। পশমি কাপড় ধোয়ার সময় পানিতে সাদা কাপড়ের বেলায় লেবুর রস এবং রঙিন কাপড়ের বেলায় ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকবে। শীতের সময় ঘরের মেঝে যেহেতু ঠাণ্ডা থাকে, তাই শীত আসার আগেই শতরঞ্জি কিংবা সামর্থ্য থাকলে ফ্লোরম্যাট কিনে রাখা ভালো। পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকলে এখনই বেরিয়ে পড়ুন পোশাক কিনতে। শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে। অবশ্যই সব সময় আলমারির ভেতর ন্যাপথলিন দিয়ে রাখতে হবে। শীতের পোশাক ভাঁজ করে সারিবদ্ধ কিংবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। যেসব ঘরে কাচের জানালা আছে, শীতের সময় তাতে অবশ্যই ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে। যদি জানালার কোনো শার্সি কিংবা কাচ ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যায়, তবে দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে। বাড়ির উত্তর দিকের জানালা কম খুললে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরের ভেতর তেমন ঢুকতে পারে না। শীতের উষ্ণতা পেতে হলে ঘরে পর্যাপ্ত রোদ আসার ব্যবস্থা করতে হবে।
শীতে ত্বকের যত্ন
আমাদের ত্বকের ধরন মূলত জন্মগতভাবেই নির্ধারিত হয়। ত্বকের এই ধরন কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। তাই আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, প্রতিদিন নিয়ম করে ত্বক পরিষ্কার করুন। এরপর গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনিং করে এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আপনার ময়েশ্চারাইজারে যদি সান প্রটেকটিভ ফ্যাক্টর না থাকে, তবে আপনাকে অবশ্যই আলাদাভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আপনার বয়স যদি পঁচিশ হয়ে থাকে, প্রতি মাসে নিয়ম করে ফেসিয়াল করুন।

টিপস
—এমনিতে সব ঋতুতেই গোসলের সময়ে আমাদের ত্বক ময়েশ্চার হারায়। শীতের সময়ে এ প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পায়। তাই এ থেকে বাঁচতে এ ঋতুতে গোসলের আগে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন অথবা গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে নিন।
—আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, আপনার ত্বককে দিন হাইড্রোথেরাপি। এই থেরাপি অনুযায়ী প্রথমে গরম পানিতে গোসল করে এরপর ১০-১৫ সেকেন্ড ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে হয়। এরপর আবারও গরম পানিতে। এভাবে ঝাড়া ২ মিনিট গায়ে পানি ঢেলে তিন মিনিটে গোসল শেষ করুন। এভাবে গোসল করলে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়। তবে গরম পানিতে গোসল করলেও মাথা অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোয়া উচিত।
—দুই টেবিল চামচ ডালের গুঁড়া এবং দই দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে । দইয়ের মাঝে ব্লিচিংয়ের কিছু উপাদান থাকে যা গায়ের রংকে উজ্জ্বল করে ।
—মধু এবং লেবুর মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগালে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে । এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী।
—কমলা এবং লেবুর শুকনা খোসার গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পরিমাণে গোলাপজল এবং দুধের সর মিশিয়ে ত্বকে লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এটি গায়ের রং ফর্সা করবে এবং ত্বককে মসৃণ করবে।
—শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধের সর অত্যন্ত কার্যকরী। যে কোনো প্যাকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ মেশালে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়।
—ময়দা এবং দুধের সর মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে লাগান । ত্বককে মসৃণ করবে এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করবে।
—তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পাকা টমেটো ও মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না শুকায়, হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। এরপর উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঝাপটা দিন।
—সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময়টাতে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানগ্লাসটিও সঙ্গে রাখুন।
—সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ত্বক পেতে ভেতর থেকেই এর পুষ্টি জোগাতে হবে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণে তাজা খাবার, পর্যাপ্ত পরিমাণে হলুদ ও কমলা সবজি যাতে বিদ্যমান রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন এবং সালফার সমৃদ্ধ খাবার যেমন—রসুন, পেঁয়াজ, অ্যাসপ্যারাগাস ও ডিম। আরও খাবেন তাজা ফল, বীজ, মটরশুঁটি জাতীয় সবজি ও বাদাম এবং অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় মধু সংযোজন করুন। মধুর প্রাকৃতিক প্রতিষেধক ত্বকের অভ্যন্তরীণ ক্ষত সারায়। এছাড়াও আখের রস, দুধ ও ঘি খাবেন।
—এ সময়ে ত্বক যেহেতু খুব দ্রুত এর আর্দ্রতা হারায়, তাই এই আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ গরম দুধে চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ ঘি মিলিয়ে পান করুন।
—প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে একটা লেবু চিপে পান করুন। এটি একটি চাইনিজ থেরাপি। এই লেবু-পানি শরীরের সেই আর্বজনাকে বের করে দেয়, যা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ফাটার জন্য দায়ী।
—বিষাদগ্রস্ততাকে ঝেড়ে ফেলুন, কেননা আপনি যতই রূপচর্চা করুন না কেন, এই বিষাদগ্রস্ততাই আপনার কোমল ত্বকে বলিরেখা হয়ে দেখা দেয়।
শীতের মেকআপ : এই ঋতুতে আপনার সাজ অন্য ঋতুর তুলনায় আরও বেশি আকর্ষণীয় এবং পরিমার্জিত হওয়া প্রয়োজন। শীত এমনই এক সময়, যখন দিনের বেলাতেও আপনি চাইলে উজ্জ্বল আইশ্যাডো নিতে পারেন আবার ঠোঁটে চকচকে গ্লসি লিপস্টিক দিতে পারেন। সাজ-সজ্জায় আবারও চলে আসবে চোখধাঁধানো ভেলভেট কাপড়ের মতো মসৃণ উজ্জ্বলতা। আমরা তো প্রতিদিনই কিছুটা হলেও সাজি। কিন্তু পার্টির জন্য সাজ মানে কিছুটা আলাদা তো বটেই। সাজটায় থাকবে এমন নমনীয়, সুন্দর, আর্কষণীয় ভিন্নতা, যেন আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা দেখায়।
আপনার গায়ের রং ফর্সা হলে ব্লাশারের রং হতে পারে তামাটে পিঙ্ক, লাইট ব্রাউন, পিচ এবং গোল্ডেন পিচ্ রঙের। লিপস্টিক নিন পেল পিঙ্ক, সুগার পিঙ্ক, কোরাল, রিচ রেড, পিচ্ ব্রাউন, ওয়ার্ম পিঙ্ক। আইশ্যাডো নিন ব্লু, এপ্রিকট, গ্রাস গ্রিন, সোনা রং, স্যান্ড ব্রাউন, গ্রে, সফ্ট ব্রাউন, কর্নফ্লাওয়ার ব্লু, ভায়োলেট এবং অন্যান্য পিঙ্কিশ শেড।
গায়ের রং শ্যামলা হলে ব্লাশার নিন পিচ্ এবং সোনা রঙের। লিপস্টিক নিন হানি, পিঙ্কিশ, গোল্ডেন, ব্রাউন, রাস্ট এবং টেরাকোটা রঙের। আইশ্যাডো নিন গোল্ডেন, পিঙ্কিশ, মিলিটারি গ্রিন, ডিপ পিঙ্ক, স্মোকি ব্ল্যাক এবং বেইজ ব্রাউন।
আপনার গায়ের রং যদি হয় কালো অর্থাত্ কৃষ্ণকলি—
আপনি ব্লাশার নিন কপার, রাস্ট, ডার্ক রোজ এবং ব্রোঞ্জ রঙের। লিপস্টিক নিন রেডিশ ব্রাউন, বার্গেন্ডি ও কোকোয়া। আইশ্যাডোর রং হতে পারে রাস্ট, পার্পল, গোল্ডেন, ব্রাউন, কপার স্মোকি ব্ল্যাক।
নিচে কিছু টিপ্স দেয়া হলো, যেগুলো মানলে আপনি থাকবেন যে কোনো পার্টির কেন্দ্রবিন্দু :
ষপার্টিতে যাওয়ার আগে বেশি সময় নিয়ে গোসল করুন এবং কিছুটা সময় রেস্ট নেয়ার চেষ্টা করুন, যাতে করে আপনাকে টায়ার্ড না দেখায়; বরং প্রাণবন্ত দেখায়।
ষসাজার সময় চোখ অথবা ঠোঁট যে কোনো একটিকে প্রাধান্য দিন। আপনি যদি চোখের মেকআপকে গাঢ় করেন, তবে ঠোঁটে হালকা রং ব্যবহার করলেও এই সাজ ইন্দ্রিয়কে কম নাড়া দেবে না।
ষদিনের বেলায় (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) মেকআপ করার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।
ষশীতকালে স্মোকি আই খুব ভালো দেখায়। আবার আপনি চাইলে চারুচিনি বা কফি শেডের আইশ্যাডো ব্যবহার করেও আপনার মেকআপকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
ষযদিও কালো মাশকারা সবাই ব্যবহার করে, আপনি চাইলে অবারজিন এবং ডার্ক ব্রাউন রঙের মাশকারা ব্যবহার করে আপনার সাজে আনতে পারেন চমত্কার পরিবর্তন।
ষপার্টিতে আপনি কী পরবেন, পার্টির আগের রাতেই সবকিছু ঠিকঠাক করে রাখুন।
ষঅবশ্যই কোনো ভালো পারফিউম ব্যবহার করুন। পার্টিতে যাওয়ার আগে কাঁচা রসুন খাবেন না।
ষকোনো পার্টিতে খুব বেশি রকমের গহনা পরবেন না, এতে আপনি নিজেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।
ষপার্টিতে যাওয়ার আগে নেইল পলিশ ব্যবহার করলে, ফ্রেশ নেইল পলিশ ব্যবহার করুন।
ষএই ঋতুতে প্রতি রাতেই খুব ভালো করে ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমাতে যাবেন। আবার দিনের বেলাতেও ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।